পাকিস্তানে শিশু জয়নবের ধর্ষক ও খুনির মৃত্যুদণ্ড উচ্চ আদালতে বহাল

পাকিস্তানে ছয় বছরের শিশুকন্যা জয়নব ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক আলোড়ন ওঠে। সেই শিশুটিসহ আরো কয়েকটি খুন-ধর্ষণের দায়ে ইমরান আলি নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে সেই ব্যক্তির আপিল আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

ইমরান আলিকে প্রথমে একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর তা উচ্চ আদালতের রায়েও বহাল থাকে।

পাকিস্তানের কসুরে জয়নব আনসারী নামের ছয় বছরের শিশুটি কোরান শিক্ষার ক্লাসে যাবার পথে নিখোঁজ হয় এর কয়েক দিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় শহরের একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায়। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্য মন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকারী হিসেবে ২৪ বছর বয়সী সেই ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেন। ঐ যুবককে সিরিয়ার কিলার ও ধর্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে।

পাকিস্তানের পুলিশ বলছে তারা ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ নমুনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়ার পরই তার ওপর ভিত্তি করে ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন। প্রায় বারোশো মানুষের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইমরান আলি নামে গ্রেপ্তারকৃত ঐ যুবক হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জানুয়ারির শুরুর দিকের এই ঘটনার পর থেকেই হত্যাকারীকে ধরার ব্যাপারে ভীষণ চাপে ছিল পাঞ্জাবের পুলিশ। গত দুই বছরে অন্তত বারোটি একই ধরনের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে একই এলাকায়।

এর আগে জানা গেছে এর মধ্যে ৬টি নিহত মেয়ের দেহে একই ব্যক্তির ডিএনএ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গত ৪ঠা জানুয়ারি কোরান শিক্ষার ক্লাসে যাবার পথে নিখোঁজ হয় জয়নব আনসারি। কয়েক দিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় শহরের একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায়। বলা হয়, তাকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। ওই দিনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে জয়নবকে শেষবার জীবিত অবস্থায় দেখা গেছে। তাতে দেখা যায় একজন অচেনা লোকের হাত ধরে জয়নব হেঁটে যাচ্ছে। জয়নব আনসারীর হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দেয় পুরো পাকিস্তানকেই। এই ঘটনায় দাঙ্গা-সহিংসতায় দু’জন নিহতও হয় সেখানে।